রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:০৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : মিয়ানমার থেকে সাগর পথে ইয়াবার চালান যাচ্ছে চট্টগ্রামে। কক্সবাজারের সংঘবদ্ধ চক্র জেলে সেজে ট্রলার যোগে নিয়ে যাচ্ছে এসব ইয়াবা। র্যাব ১৫ এর একটি দল গোপন সংবাদে সমুদ্র উপকূল কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার ইয়াবা সহ ৪ জন মাদক কারবারীকে আটক করেছে। এসময় জব্দ করেছে ট্রলারটিও।
কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারি পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সালাম চৌধুরী এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার সকালে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তি বলা হয়েছে, গোপন সংবাদে র্যাব জানতে পারে চিহ্নিত মাদক কারবারি চক্র পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার হতে একটি মাদকের চালান নিয়ে ফিশিং বোটযোগে সমুদ্রপথে মহেশখালী কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা ব্রীজের দিকে আসছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গভীর রাতে র্যাব-১৫ এর একটি দল উক্ত এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানস্থলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত ফিশিং বোটে থাকা মাদক কারবারীরা পালানোর চেষ্টাকালে ৪জন মাদক কারবারীকে আটক করে। আটকরা জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উক্ত বোটের ভিতর বিশেষ কায়দায় ইয়াবা মজুদ রয়েছে। পরে ফিশিং বোট তল্লাশী করে বিশেষ কায়দায় রক্ষিত মাছ রাখার বক্সের ভিতর হতে ১ লক্ষ ত্রিশ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়।
আটক মাদক কারবারীরা হলো, মহেশখালীর কুতুবজোমের মুসলিম মিয়ার পুত্র জাহিদ হোসেন, মৃত তাজের মুল্লুকের পুত্র কবির হোসেন, মৃত হাবিবুল্লাহর পুত্র সালামতুল্লাহ ও মৃত মজু বলির পুত্র রুহুল আমিন।
র্যাব জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মাদক কারবারিরা জানায় পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে সীমান্তবর্তী এলাকার স্থল ও সমুদ্র পথ দিয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ইয়াবাসহ অন্যান্য মাদক চোরাচালানের সাথে জড়িত। এই চক্রটি মূলত কক্সবাজার কেন্দ্রিক একটি মাদক চোরাকারবারী চক্র। তারা সাগর পথে মিয়ানমার থেকে মহেশখালীর সমুদ্র উপকূল সোনাদিয়া ও ঘটিভাঙ্গায় ইয়াবার চালান নিয়ে আসে। পরবর্তীতে এসব ইয়াবা সাগর পথে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে চালান করে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরো জানান, উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ আটক মাদক কারবারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে মহেশখালী থানায় এজাহারসহ আটকেদের দাখিল করা হয়েছে।
.coxsbazartimes.com
Leave a Reply